শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
spot_img
Homeজাতীয়জীবনের ঝুকি নিয়েই ব্রীজের উপর চলাচল, ভোগান্তি চরমে

জীবনের ঝুকি নিয়েই ব্রীজের উপর চলাচল, ভোগান্তি চরমে

কুড়িগ্রামের উলিপুরে পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে নারিকেল বাড়ি তিস্তার পাড় নামক এলাকায় বুড়ি তিস্তা নদীর উপর ৬০ বছর আগে নির্মিত ব্রীজটি সংস্কারের অভাবে ভেঙ্গে ও ফাটল ধরে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

ব্রীজটি মুজবুত সংস্কার বা পুননির্মাণ না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড সহ পূর্ব পশ্চিম প্রান্তের প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশী মানুষ। দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর ধরে ভাঙাচোরা ও জরাজীর্ণ

অবস্থায় চললেও ব্রীজটি মেরামত বা পুণনির্মানে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৬০’র দশকে তিস্তার পাড় এলাকার মানুষ তৎকালিন সময়ে বাঁশের সাঁকো

বানিয়ে এপার ওপার যাতায়াত করতো। ধীরে ধীরে স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় পাকিস্তান পিরিয়ডের নেত্রীবৃন্দের কাছে একটি ব্রীজ নির্মানের আবেদন করে।

তৎকালীন পাক সরকারের নিয়ন্ত্রনে থাকা নেত্রীবৃন্দ ১৯৬৬ সালে ব্রীজটি নির্মান করে দেয়। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বুড়ি তিস্তা নদী খনন কার্যের সময় ব্রীজটির প্রথম ফ্লোরের কিছু অংশ ধ্বসে

যায়। কিছুদিন পর ব্রীজটির একটি সাইড ওয়াল ধসে নদীতে পড়ে যায় ও বাকী তিনটি সাইড ওয়ালে মারাত্মক আকারের ফাটল ধরে।

ব্রীজটির উপর দিয়ে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। ব্রীজটির বেহাল দশার কারণে প্রবেশ মুখে বাঁশের খুঁটি পুতে দিয়ে ভারি যানবাহন বন্ধ করা হলেও সুযোগ বুঝে ভারি যানবাহন ঝুকি নিয়েই চলাচল করছে।

কেউ অসুস্থ হলে জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। ব্রীজটির উপর দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়েই প্রতিদিন প্রায় প্রাইমারি পর্যায় থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়া প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীর

যাতায়াত রয়েছে। এইসব শিক্ষার্থীকে বহনের জন্য ব্যবহার হচ্ছে রিক্সা ও বিদ্যুৎ পরিবাহী ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা। ওই এলাকার কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সৌরভ, এনামুল, নুরন্নবী, শামীম,

অটোরিক্সা চালক সাত্তার, ফুলচাঁদ, আবু মিয়াসহ অনেকেই জানান, ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মাঝে মাঝেই প্রায় ২ কিলোমিটার ঘুরে উলিপুর পৌর শহরসহ অন্যত্র যেতে হয় ফলে অর্থ ও সময় দুটোই ব্যয় হয়।

পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান রাজু বলেন, ব্রীজটি নির্মাণের জন্য বেশ কয়েকবার পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে দেখানো

হয়েছে কিন্তু আজ অবধি কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উলিপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম বলেন, ব্রীজটি নতুন করে নির্মাণের জন্য কাগজপত্র পাঠানো

হয়েছে। এ বিষয়ে পৌর মেয়র মামুন সরকার মিঠু বলেন, ব্রীজটি নির্মাণের জন্য অর্থ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্ধ পাওয়া গেলে সেতুটি অতিদ্রুত নির্মাণ করে পথচারীদে

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ