বশির আলম, মাত্র ত্রিশ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়া এক শিশুকে ফিরিয়ে দিল টঙ্গী থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার দোহার থেকে উদ্ধারের পর গাজীপুর মহানগর পুলিশের টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াসিন আরাফাত শিশু হোসেনকে তার মা-বাবার কোলে তুলে দেন।
এসময় সন্তানকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিশুটির মা। বৃহস্পতিবার বিকালে টঙ্গী পূর্ব থানায় এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন উপপুলিশ কমিশনার মাহবুব উজ জামান। তিনি বলেন, ঢাকার দোহার থেকে শিশুটিকে কিনে নেওয়া স্বর্ণা-কাশেম দম্পতির বাসা থেকে উদ্ধার করা
হয়। এর আগে, মঙ্গলবার শিশুর বাবা মাসুম ও মা লিমা অভাবের কারণে শিশু হোসেনকে মাত্র ৩০ হাজার টাকায় তাদের কাছে বিক্রি করে দেন। এরপর থেকে সন্তান হারিয়ে মুষড়ে পড়েন তারা। বিষয়টি ৯৯৯ প্রতিবেশীরা জানালে পুলিশ শিশুটি উদ্ধারে তৎপর হয়। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার
সকালে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া ফেরত দেওয়া হয় নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে নেওয়া ত্রিশ হাজার টাকা। এছাড়া অভাবগ্রস্ত মাসুমকে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশুর মা লিমা হনুফা জানান, চিকিৎসা খরচ ও ঋণের টাকা জোগাতে ৪৭ দিন বয়সী শিশু হোসেনকে দোহারের
নিঃসন্তান দম্পতি কাশেম-স্বর্ণার কাছে ত্রিশ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেই। এরপর সারা রাত ঘুমোতে পারিনি। বুকের মানিককে নেওয়ার জন্য তারা এক লাখ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমার ঋণ ৩০ হাজার টাকা হওয়ায় আমি ও আমার স্বামী ৩০ হাজার টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই।
পরে আমাদের অবস্থা দেখে প্রশাসন আমার ছেলেকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এদিকে, শিশুর বাবা-মায়ের অভাব দূর করতে এগিয়ে এসেছেন বিত্তবানরা। বাবা মাসুমকে এরই মধ্যে ১৫
হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হক গ্রুপের সহকারী ব্যবস্থাপক হযরত আলী এহসান।