বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
spot_img
Homeআইন-অপরাধব্যাংকের চেক দিয়ে প্রতারণা

ব্যাংকের চেক দিয়ে প্রতারণা

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক,শেরপুর প্রতিনিধি:একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলেও শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পাওনাদার ব্যক্তিকে ব্যাংকের চেক দিয়ে প্রতারনা করার অভিযোগ উঠেছে রাকিবুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীর

বিরুদ্ধে। টাকা পরিশোধে ব্যাংকের চেক দেওয়ার পর থানায় গিয়ে চেকটি হারিয়ে গেছে মর্মে সাধারণ ডায়েরি করেন ওই ব্যবসায়ী।

অভিযোগে জানা গেছে,পাওনাদার ব্যক্তি ফারুক হোসেনকে দেওয়া ২০ লাখ টাকার চেকটি ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর তা ডিজঅনার হলে ফারুক হোসেন শেরপুর আদালতে প্রতারক রাকিবের বিরুদ্ধে একটি মামলা

দায়ের করেন।এদিকে, রাকিব আদালতে চেক হারানোর জিডির কপি দেখিয়ে পাল্টা অভিযোগ করেন ওই চেকে তার স্বাক্ষরটি আসল নয়। এমনকি ওই চেকটি তার হারিয়ে যাওয়া চেক।

হারানো চেক দিয়ে তার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে মামলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ফারুক হোসেন উপজেলার কোন্নগর গ্রামের বাসিন্দা। নিজের পাওনা টাকা না পেয়ে বর্তমানে সে অসহায় হয়ে পড়েছেন।
অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম নালিতাবাড়ী উপজেলার কোন্নগর এলাকার বাসিন্দা।

সে একজন ব্যবসায়াী। ব্যবসা করার সুবাদে ওই এলাকার আরেক যুবক ফারুক হোসেনের সাথে পরিচয় হয়। ব্যবসায়ীক অংশীদার হতে ফারুককে আশ্বাস দিয়ে তার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নেন রাকিব।

পরবতীর্তে ফারুককে সেই ব্যবসার কোন লভ্যাংশ দেয়নি সে। কয়েক মাস পর ফারুক তার পাওনা টাকা ফেরত চান। একপর্যায়ে রাকিব তাকে ২০ লাখ টাকার একটি চেক স্বাক্ষর করে দেন।

পরে ফারুক পদ্মা ব্যাংক নালিতাবাড়ী শাখায় গিয়ে ওই চেক জমা দেওয়ার পর একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা জমা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। কোন উপায় না পেয়ে ফারুক শেরপুর আদালতে রাকিবের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে রাকিব তখন গ্রহণ করে মিথ্যার নানা কৌশল। তিনি আদালতে দাবি করেন ওই চেকটি তার কাছ থেকে হারিয়ে যাওয়া চেক। এমনকি চেকের স্বাক্ষর তার নয়। এজন্য তিনি আদালতে তার সংশোধিত স্বাক্ষরিত হিসাব নম্বরের কার্ডটিও দেখান।

এদিকে, হিসাব নম্বরের কার্ডে রাকিবের স্বাক্ষরটি পরিবর্তন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হন ভুক্তভোগী ফারুক। রাকিবের কাছ থেকে নেওয়া চেকটির আগে এবং পরে অন্য কাউকে দেওয়া চেকের স্বাক্ষরও একই রকমের।

সোনালী ব্যাংক নালিতাবাড়ী শাখায় গিয়ে তার প্রমাণও পান ফারুক।অনলাইনেও চেকের স্বাক্ষর মিল পাওয়া যায়। কিন্তু সুকৌশলে রাকিবের হিসাব নম্বরের কার্ডের স্বাক্ষরটি ব্যাংকে গিয়ে পরিবর্তন করে তা আদালতে

উপস্থান করা হয়েছে।ভুক্তভোগী ফারুক হোসেন জানান, রাকিবের কাছে পাওনা ২০ লাখ টাকা চাওয়ার পর প্রথমে চেক দিয়ে তারপর আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা জিডি করে। আমি আইনের আশ্রয় নিলে রাকিব আমার বিরুদ্ধে ওই জিডির কপি দিয়ে আদালতে পাল্টা মিথ্যা মামলা করে নানা ভাবে আমাকে হয়রানী করছে।

এমন নানা অভিযোগে রাকিবের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করেছে বিভিন্নজন। বেশ কিছুদিন ভেজাল সয়াবিন তেল আমদানি ও বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছে

রাকিব। সে একজন চিহ্নিত প্রতারক। এ প্রতারণার জন্য তার কঠোর শাস্তি ও উপযুক্ত বিচার দাবি করেন ফারুক।এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে রাকিবুল ইসলামের ব্যবহৃত একাধিক মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপরে ব্যাংকে সংরক্ষিত স্বাক্ষর কার্ডে কিভাবে নতুন করে স্বাক্ষর পরিবর্তন করা হয়েছে এমন প্রশ্নে সোনালী ব্যাংকের নালিতাবাড়ী শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন,একাউন্টধারীর স্বাক্ষর পরিবর্তন করা একটি সাধারণ প্রক্রিয়া।

রাকিবুলের দেওয়া চেক ডিজঅনার হলে ফারুক তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদলত থেকে আমার কাছে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট চাওয়া হলে আমি তা আদালতে উপস্থাপন করেছি।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ