বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
spot_img
Homeগণমাধ্যমমামলায় নামের গরমিল ২৩ দিন হাজতবাস ন্যায়বিচার পেতে সংবাদ সম্মেলন

মামলায় নামের গরমিল ২৩ দিন হাজতবাস ন্যায়বিচার পেতে সংবাদ সম্মেলন

বশিরআলম,আসামি না হয়েও মিথ্যা রোষানলে জেল খাটেন সাংবাদিক শামীমা খানম। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তার মা খাতুনে জান্নাত।। শুক্রবার সকাল ১১ টায় টঙ্গী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ডঃ আলী আকবরের বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে খাতুনে জান্নাত জানান, দীর্ঘ বছর যাবত প্রতিহিংসা, বিভিন্ন রুষানলে , স্কুলের এডভান্সের টাকা ফেরত চাওয়াতে,সাংবাদিক শামীমা খানমকে মিথ্যা বানোয়াট ,অসত্য ,ভিত্তিহীন মামলায় আসামি না হয়েও ২৩ দিন জেল খেটেছে তার মেয়ে সাংবাদিক শামীমা খানম এই দায়ভার নিবে কে।

এছাড়াও আরো চারটি মামলা প্রক্রি য়া চলমান আছে বলেও তিনি জানান, তিনি এও জানান ,গত চার মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে তার মেয়ে শামীমা খানমের ছবি ও ওয়ারেন্টির স্লিপ দেখতে পান।

উক্ত ঘটনার সততা জানতে সাংবাদিক শামীমা খানম আদালত তিনি গেলে কোন কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করে সাংবাদিক শামীমা খানমকে কোন ফরিয়াদ না শুনে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

২৩ দিন জেল খেটে এসে বিভিন্ন কাগজপত্র পরীক্ষা করে জানতে পারেন, গত ১৬/৮/২০২১ ইং তারিখে একটি মামলা দায়ের নং ৬৮৪,২১ এ মামলা হয় 386 অবলিক ৩৪ ধারা। মামলার বাদী সুরুজ পিতা মঙ্গল মিয়া, সেখানে আসামি উল্লেখ আছে শামীমা খানম ববি স্বামী হিরণ ২ নং আসামী হিরন, পিতা মোঃ।

নামে চাঁদাবাজি প্রতারণার অভিযোগে আদালত তিনি মামলা রজু করেন প্রকৃতপক্ষে মামলার আসামি ব্যক্তি আমার মেয়ে শামীমা খানম ও মেয়ের স্বামী না। এজাহারে আসামীর নাম উল্লেখ আছে শামীমা খানম ববি ,স্বামী হিরন ।২ নম্বর হিরন, পিতা মোহাম্মদ।

পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে, এই মামলা ছাড়াও একই এলাকায় আরো চারজন বাদী সাজিয়ে আরো চারটি মামলা করেন টুটুল সরকার ,লিটন উদ্দিন সরকার ও তার আপন মামাতো ভাই ইব্রাহিম উকিল। বাদিগণ হলেন, জলিল মিয়া, পিতা হামিদ খান ৬৮৬, ২০২১।

জরিনা খাতুন পিতা আজিজ বেপারী 683 ২০২১। সাফিয়া পিতা আকরাম আলী আকন্দ ৬৮৫, ২০২১। আক্কাস মিয়া পিতা ওহিদ মিয়া সি আর মামলা ৫২৪, ২০২১। এই মামলা গুলি মেট্রোপলিটন ৩ আদালতের করা হয় যা একই দিনে একই আদালতে চারটি মামলা রুজু হয়।

ওই মামলার টঙ্গি পূর্ব থানার এস আই ফরহাদের কাছেই পাঁচটি মামলার তদন্ত ও দেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে, এই এস আই ফরাদ শামীমা খানমের বিভিন্ন অভিযোগ ও জিডির আয়ু ছিলেন তারপরও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা পাঁচটি মামলার ই রিপোর্ট দিয়েছেন।

এখানে উল্লেখ করা যাচ্ছে যে এক বছর সুরুজের মামলা সমন গোপন করে মামলা চালিয়ে যান জিএম ইব্রাহিম উকিল। পাঁচটি মামলার একটি মামলার প্রাপ্তি রশিদ সমন আমার মেয়ে ও মেয়ের স্বামীর কাছে আসেনি এবং তাহার রশিদ আদালতের কাছেও নেই। কেননা মেয়ে ও মেয়ের স্বামী

উক্ত মামলার আসামি নয়। তারপরও সুরুজ বাদী মামলার ৬৮৪ ,২১ শামীমাকে ২৩ দিন আসামি না হয়েও কাস্টুরি থাকার পর জিএম ইব্রাহিম উকিল ও টুটুল, লিটন সরকার গং আমাকে ভয় ভীতি দেখায় যে আমার মেয়ে সারা জীবনেও জেল থেকে বের হতে পারবেনা।

এই মামলা ছাড়াও অনেকগুলো মামলা আছে। মেয়েকে বাঁচাতে হলে ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে আমাদের। পরবর্তীতে মেয়ের কথা চিন্তা করে তাদের দাবিকৃত ৩০০০০ টাকা দেই জিএম ইব্রাহিম উকিল ও টুটুল ,লিটন গংদের কাছে।

বর্তমানে আমার মেয়েকে জিএম ইব্রাহিম উকিল বিভিন্ন জায়গায় এবং আদালত প্রাঙ্গণে সরাসরি মোবাইল নাম্বারে থেকে হুমকি প্রদান করে আসছে তোমার বিরুদ্ধে বাকি মামলার ওয়ারেন্ট করে তোমাকে আবারো জেলে পাঠাবো।

যদি বাঁচতে চাও টুটুল সরকার ও লিটন উদ্দিন সরকার এর কাছে গিয়ে মাফ চাও, তাদের বাড়িতে যাও ,বাড়িতে না পেলে উত্তরার বাসায় যাও। তারা যদি বলে আমাকে মামলা খালাস করে দিতে আমি দুই দিনের মধ্যে সকল মামলা থেকে খালাস করে দেব।

টুটুল সরকার ও লিটন উদ্দিন সরকারের আপন মামাতো ভাই এই জিএম ইব্রাহিম উকিল। এই gm ইব্রাহিম উকিলের রোশানলে আমার মেয়ে শামীমা খানম। তারা পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা ভিত্তিহীন পাঁচটা মামলা সাজিয়ে ওই মামলাগুলো আমার মেয়ে ও আমার মেয়ের জামাইকে ফাঁসিয়ে আবারো

জেল খাটানোর পাঁয়তারা করিতেছে। বর্তমানে উল্লেখিত মামলাগুলোর বিষয় প্রশাসন ও প্রশাসকদের কাছে আমি জোর দাবি জানাচ্ছি যে, এজাহান নামীয় আসামি আমার মেয়ে ও আমার মেয়ের স্বামী নয়। তবুও আমার মেয়ে শামীমা হাজত খেটেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিকট দাবি

জানাচ্ছি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বাদী সুরুজ, জলিল, আক্কাস, সাফিয়া ও জরিনা সহ জিএম ইব্রাহিম উকিলদের মদদদাতাদের সুবিচার দাবি জানাচ্ছি সকলের কাছে।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ